
বালিয়াটি জমিদারবাড়ি বাংলাদেশের বৃহৎ ও ঢাকার অতি নিকটে হওয়ায় প্রচুর ভ্রমণকারীগণ এখানে বেড়াতে আসেন। পরিবার পরিজন নিয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন কম্পানি এখানে পিকনিক/শিক্ষাসফর করতেও আসেন। এই জমিদার বাড়িতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, ফিল্মমেকারগণ বিভিন্ন সময়ে নাটক-সিনেমার কাজ করেছেন। এখানে বর্তমানে বিয়ের ফটোস্যুট থেকে শুরু করে ইউটিউব চ্যানেলের, টিকটক ভিডিও, ফেসবুকের জন্য চিত্রগ্রহন করতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর লোক এখানে এসে অনুমতি না থাকায় বিপাকে পরে যান। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠানে স্যুটিং বা চিত্রগ্রহনের জন্য প্রত্বত্ত্ব অধিদপ্তরে সরকারি নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে অনুমতি নিতে হয়।
স্যুটিং/ চিত্রগ্রহনের শর্তাবলিঃ
ক) সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রস্তাবিত অনুষ্ঠান ধারনের জন্য প্রতি ঘন্টায় ৩,০০০/-(তিন হাজার) টাকা হারে ফি প্রদান করতে হবে।
(খ) অনুষ্ঠান চলাকালে কোন সরকারি সম্পদ ও পুরাকীর্তির ক্ষতিসাধন করা যাবে না।
(গ) দেশের বা সরকারের ভাবাদর্শ ক্ষুন্ন হয় অথবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কিছু করা যাবে না।
(ঘ) বিধি বহির্ভূত কোন কাজ করা যাবে না।
(ঙ) অনুষ্ঠান চলাকালে পুরাকীর্তি কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণসহ গৃহীত অন্যান্য ব্যবস্থা অবশ্যই মানতে হবে।
(চ) অনুষ্ঠান চলাকালে উক্ত সহানের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
(ছ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রবেশ মূল্য দিতে হবে।
(জ) প্রত্নস্থলে অভ্যন্তরে মঞ্চ তৈরী এবং কোন খাবার রান্না করা যাবে না।
(ঝ) সামাজিক ও নৈতিকতার পরিপন্থী কোন কাজ করা যাবে না।
(ঞ) নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে ও খরচে বিদ্যুতায়নের ব্যবসহা করতে হবে।
(ট) দর্শকদের পরিদর্শনে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না।
(ঠ) সংরক্ষিত প্রাচীণ ইমারতের দেয়ালে পেরেক (তারকাটা) লাগানো যাবে না।
(ড) রাজস্ব ফি এর উপর ১৫% ভ্যাট প্রদান করতে হবে।
(ঢ) স্যুটিংয়ের জন্য কোন সামিয়ানা টানানো এবং কোন স্থাপনা তৈরী করা যাবে না।
(ণ) প্রত্নস্থাপনার ভেতর/ বারান্দায় / ছাদে কোন প্রকার স্যুটিং করা যাবে না।
(ত) নির্ধারিত ফি প্রদানের পর চিত্রায়ণ শুরু করতে হবে।
(থ) পুরাকীর্তির অভ্যন্তরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলকে প্রবেশ টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
আবেদন করার ফরম ডাউনলোড করুন:
এছাড়াও বিস্তারিত জানতে কল করুন: ০১৬৭৯-৪৬২৫৮৪

